working...

working...

working...

working...

working...

working...

working...

working...

working...

working...

Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts
Showing posts with label খেলাধুলা. Show all posts

27 November 2017

নেইমার-কাভানি ‘লড়াই’ চলছেই



এর পরের যে পেনাল্টি হবে, সেটি নেইমারই নেবেন। এডিনসন কাভানি কথা রেখেছেন। পেনাল্টির দায়িত্ব আজ তুলে দিয়েছেন নেইমারের কাঁধে। তা থেকে ঠান্ডা মাথায় গোল তুলে নিয়েছেন পেনাল্টি আদায় করে নেওয়া নেইমার। তবে মোনাকো-পিএসজির এই লড়াইয়ে তবু আলোটা নিজের দিকে ধরে রেখেছেন কাভানি। ১৯ মিনিটে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। ৫২ মিনিটে নেইমারের সৌজন্যে ২-০। হোয়াও মুতিনহো ৮১ মিনিটে ব্যবধান কমালেও শেষ পর্যন্ত পিএসজি ২-১ গোলেই জিতছে।

আর এই জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগে মোনাকো ও লিওঁর চেয়ে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে থাকল ১৪ ম্যাচে অপরাজিত পিএসজি। আর এর পেছনে আছে কাভানি-নেইমারের ‘ভালো ছাত্রের প্রতিযোগিতা’। দুজনের লড়াইটা যে ভেতরে-ভেতরে ঠিকই আছে, ম্যাচ দেখলেই বোঝা যায়। দুজনেরই ১ নম্বর রোল পাওয়ার সেই লড়াইয়ে কাভানি অবশ্য অনেক এগিয়েই আছেন। এই মৌসুমে ১৯ ম্যাচে করেছেন ২২ গোল। আর নেইমার ১৫ ম্যাচে করেছেন ১৪ গোল।
এর মধ্যে ফ্রেঞ্চ লিগে কাভানির গোল ১৬টি। নেইমারের চেয়ে এগিয়ে আছেন দ্বিগুণ ব্যবধানে। ব্রাজিল তারকার ৮টি গোল লিগে, বাকি ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগে। চ্যাম্পিয়নস লিগেও কিন্তু কাভানির গোলসংখ্যা ৬!

দুজনের মধ্যে লড়াইটা প্রকাশ্য হয়েছিল সেই ফ্রি কিক নেওয়া নিয়ে বিবাদ থেকে। এখনো যার জের টেনে নিয়ে যাচ্ছে পিএসজি। কালও বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে, কোচ উনাই এমেরির ওপর নেইমার নাকি এখনো নাখোশ। তবে এই লড়াইয়ে অনেক আগেই সরে গেছেন কাভানি। নির্বিবাদে পেনাল্টি সঁপে দেওয়া তারই সংকেত হয়ে থাকল। নেইমারই বা মেসির ছায়া থেকে বেরোতে গিয়ে কাভানির ছায়ায় থাকতে চাইবেন কেন!

এই ম্যাচে অবশ্য কাভানি-নেইমারের চেয়ে বেশি নজর ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে। এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পিএসজির তিনি হননি। সেটি শেষ হতে হতে এই মৌসুমের শেষ পর্যন্ত যাবে। কাগজপত্রের হিসাবি জটিলতায় এখনো তিনি বলা যায় মোনাকোরই খেলোয়াড়। বহুল আলোচিত সেই দলবদলের পর এবারই প্রথম নিজের সেই পুরোনো ঠিকানায় ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু একের পর এক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে প্রত্যাবর্তনটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না।

না হলে গত ম্যাচে সেল্টিককে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া পিএসজি এবার ফ্রেঞ্চ লিগেও মোনাকোকে উড়িয়ে দিয়ে একটা বার্তা দিয়ে রাখতে পারবে। কিন্তু শেষটা হলো ন্যূনতম ব্যবধানের জয় দিয়ে। তবে এতে নিজেদের নতুন করে ফিরে পাওয়া রাদামেল ফ্যালকাওদেরও কৃতিত্ব আছে। জোর লড়াই চালিয়ে গেছেন তাঁরা। কিন্তু ১-২ রোল দুটো যেখানে আগে থেকেই বরাদ্দ, সেখানে বড়জোর তৃতীয় হওয়া নিয়েই কেবল চিন্তা করা যায়!

পিএসজি এখন এতটাই একতরফা খেলছে, ম্যাচের ফলের অনিশ্চয়তা ঘুচে গেলে নেইমার বনাম কাভানির লড়াইটাই কেবল আকর্ষণীয় হয়ে থাকে!